প্রকাশিত: ০১/০৫/২০১৮ ৭:৫১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৬ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকার রাখলেও মানবেতর জীবনযাপন করছেন কক্সবাজারের লক্ষাধিক জেলে। নেই কোন ছুটি, ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতেও পরিবর্তন হয়না তাদের ভাগ্য। শ্রম আদালত বা শ্রম আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায়, তারা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মেনে করেন শ্রমিক নেতারা। আর মৎস্য বিভাগ বলছে, পুরো নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হলে জেলেদের অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।

গভীর সাগরে ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারই তাদের পেশা। কখনো তপ্ত রোদে পুড়ে, কখনো ঝড়ো হাওয়া আবার কখনো জলদস্যু জীবনের ঝুঁকি। নেই কোন ছুটি ও অন্যান্য সুবিধা। টানা সময়ের জীবন যুদ্ধে এসব মানুষ জেলে নামেই পরিচিত।

এসব মানুষের কাছে শ্রম অধিকার বা মে দিবসের কোন মূল্য নাই। তারা জানেন না তাদের জন্য রয়েছে একটি দিন, মে দিবস। ট্রলারযোগে সাগর থেকে মাছ ধরে এনে কূলে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহই তাদের জীবন। দিনরাত হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতে পাওয়া মজুরিতেই অভাব-অনটনে চলে তাদের সংসার। সাপ্তাহিক ছুটি, নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা, ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্ন তাদের কাছে অবান্তর।

কক্সবাজারে শ্রম আদালত বা শ্রম আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় শ্রমিকরা শ্রম অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ জেলা ফিশিং বোট শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান বাহাদুরের।

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের অধীনে এই শ্রমিকদের এখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাদের ব্যাপারে কোন নীতিমালাও তৈরি করা হয়নি এমনকি কক্সবাজের কোনো শ্রমআদালতও নাই।’

তবে মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মঈন উদ্দিন আহমদ জানালেন, শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হলে জেলেদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

তিনি বলেন, ‘আইনটা কঠিন হলে আমরা এমনটা করতে পারি যে, নিবন্ধিত জেলে ছাড়া কেউ সাগরে যেতে পারবে না। তখন এদের অধিকারটা আরও সমু্ন্নত হবে।

জেলা মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের আওতায় এসেছে ৪৮ হাজার ৩৯৩ জন জেলে ও নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ৫ হাজার ২৪০টি।

পাঠকের মতামত